বলিউড অভিনেতা ইরফান খান মারা গেছেন। এসময় তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর।
স্লামডগ মিলিয়নিয়ার মতো চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন।
অভিনয় করেছেন বলিউড ও হলিউডের বহু ছবিতে। বাংলাদেশে বহুল আলোচিত একটি চলচ্চিত্র ‘ডুব’-এর মূল ভূমিকাতেও ছিলেন তিনি।
তার সংস্থা জানিয়েছে, মি. খান ভারতের মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
২০১৮ সালে এক টুইটার পোস্টে এই অভিনেতা জানান যে, তিনি এনডোক্রাইন টিউমারের চিকিৎসা নিচ্ছেন। এটি এমন এক ধরণের রোগ যেটি রক্তে হরমোনের সরবরাহকে বাধাগ্রস্থ করে।
পরে তিনি লন্ডনের একটি হাসপাতালেও চিকিৎসা নিয়েছিলেন।
ক্যান্সার চিকিৎসা নিয়ে জনসম্মুখে কথা বলার দুই মাস পর তিনি এ বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি খোলা চিঠি লেখেন। যেখানে তিনি ক্যান্সারের চিকিৎসা নেয়ার সময় তার কষ্টের তীব্রতা এবং জীবনের অনিশ্চয়তার বিষয়টি তুলে ধরেন।
বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে তার ভক্তরা তাকে বাধ ভাঙা সমর্থন জানান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বলিউড তারকা এবং ভারতের রাজনীতিবিদরা।
মি. খানের পিআর সংস্থা এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রিয়জন, পরিবারের সদস্য যাদেরকে তিনি অত্যন্ত ভালবাসতেন, তার সব উত্তরাধিকারের মায়া পেছনে ফেলে তিনি স্বর্গে পাড়ি জমিয়েছেন। আমরা সবাই প্রার্থনা করছি তার আত্মা শান্তিতে থাকুক।”
সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চন যিনি ‘পিকু’ চলচ্চিত্রে তার সাথে অভিনয় করেছেন তিনি এক টুইটারে বলেন, “চলচ্চিত্র দুনিয়ার এক অবিশ্বাস্য প্রতিভা…বিনীত সহকর্মী…কর্মঠ কর্মী… খুব জলদি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন…অনেক বড় শূন্যতা তৈরি করে দিয়ে চলে গেলেন।”
বলিউড অভিনেত্রী রাভিনা ট্যানডন এক টুইটে বলেছেন, “চমৎকার একজন সহ-অভিনেতা, অন্যতম শ্রেষ্ঠ একজন অভিনেতা এবং একজন সুন্দর মনের মানুষ ছিলেন তিনি।”
ভারতে টুইটারের টপ ট্রেন্ডের প্রথম চারটিই ইরফান খান বিষয়ক। অনেকেই তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
২০১৩ সালে ‘পান পান সিং তোমার’ নামে একটি বায়োপিক সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য মি. খান ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পান। ওই চলচ্চিত্রের একজন অ্যাথলেটের জীবনী নিয়ে নির্মিত হয়েছিল যিনি পরবর্তীতে ডাকাত হয়ে যান।